নাসিরকে খেলানো উচিৎ
প্রথম ম্যাচে শেষর ৫-৬ ওভার বাদ দিলে কিন্তু টিম বাংলাদেশ অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে। ব্যাটিংয়ে সবাই প্রায় টাচে ছিল। তামিম, সাব্বির, মাহমুদউল্লাহ কিংবা মুশফিকরা কম রান করে আউট হয়ে গেলেও তাদের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে, বেশ আত্মবিশ্বাসী। এই আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পারলে দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো কিছু করতে পারবে অবশ্যই। ইমরুল-সাকিবের ব্যাটিং তো রীতিমত মনোমুগ্ধকর। চোখ জুড়ানো। অসাধারণ ব্যাটিং করেছে তারা দু`জন। আশা করছি দ্বিতীয় ম্যাচে আরও ভালো খেলবে তারা দু`জনে।
তবে আমার মনে হয়, নাসিরকে খেলানো উচিৎ। প্রথম ম্যাচে যদি নাসির থাকতো তাহলে আমার মনে হয় ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারতো সে। মোশাররফ রুবেলের জায়গায় নাসিরকে খেলানো হলে অফ স্পিন, ব্যাটিং এবং দুর্দান্ত ফিল্ডিং- তিনটিই পাওয়া যেতো।
ইংল্যান্ডের এই দলটির বিপক্ষে আমরা যদি একজন ব্যাটসম্যানকে বেশি খেলাই তাহলে সেটা দলের জন্যই উপকারী। ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকজন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান রয়েছেন। তাদের সামনে নাসিরের অফ স্পিনটা বেশ কার্যকরী হতে পারে। তার ব্যাটিংটা তো পাওয়া যেতোই। একই সঙ্গে নাসির কিন্তু দুর্দান্ত ফিল্ডারও বটে।
টিম ম্যানেজমেন্ট যদিও বলছে মাহমুদউল্লাহ, সৈকতের সঙ্গে একই ক্যাটাগরির হয়ে যায় নাসির। আমার মত হচ্ছে, একই ক্যাটাগরির হোক- তাতে সমস্যা তো নেই। কারণ, দলের উপকার হলে সেটা কোন ক্যাটাগরির তা তো দেখার দরকার নেই। মোশাররফ রুবেলের চেয়ে নাসির অনেক বেশি ভালো চয়েজ হতে পারে।
প্রথম ম্যাচে কিছু কিছু ভুল হয়েছে। এই ভুলগুলো নিশ্চয়ই দ্বিতীয় ম্যাচে করবে না আর টিম বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের মত শক্তিশালি দলের বিপক্ষে জিততে হলে অবশ্যই তিন ডিপার্টমেন্টেই সমানভাবে ভালো করতে হবে। প্রথম ম্যাচে যে ক্যাচগুলো মিস হয়েছে সেগুলো দ্বিতীয় ম্যাচে ছাড়া যাবে না। ওই ক্যাচগুলো ছাড়লে ম্যাচ জেতা যাবে না। তেমনি বোলিংয়েও ভালো করতে হবে এবং ব্যাটিংয়ে বেশ কয়েকজনকে ভালো করতে হবে। তাহলে আমার মনে হয় জয় সম্ভব।
কারণ, ইংল্যান্ড একটি পেশাদার দল। তারা প্রথম ম্যাচ যেভাবে জিতেছে, দ্বিতীয় ম্যাচে আরও কঠিন হয়ে সামনে আসতে পারে। তারা চাইবে প্রথমে ব্যাটিং করলে ৩৩০ থেকে ৩৪০ রানের মত তুলে ফেলতে। পরে ব্যাট করলে চাইবে বাংলাদেশকে আড়াইশ`র মধ্যে বেধে ফেলতে।তবে আমার মনে হয় ইংল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ দেয়া উচিত। তাহলে তাদেরকে ২৭০ থেকে ২৮০`র মধ্যেও যদি বেধে ফেলা যায়, তাহলে আমাদের জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তবে তার জন্য অবশ্যই ফিল্ডিংয়ে আরও সুপার হতে হবে বাংলাদেশকে। এমনিতে তারা ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করেছে। তবে, ক্যাচগুলো ছাড়া যাবে না। পরের ম্যাচে আরও বেশি উন্নতি করতে হবে।
Post a Comment