বাংলাদেশের কাছে হারের পর পুলিশ স্টেশনে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল : ধনি
২০০৭ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর পোর্ট অব স্পেনে বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের ম্যাচে টাইগারদের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। ওই ম্যাচে ৫ উইকেটে জয় পেয়েছিল টাইগাররা। টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়। সৌরভ গাঙ্গুলির ফিফটিতে (৬৬ রান) ভর করে ১৯১ রান তুলেছিল ভারত। জবাবে তামিম ইকবাল (৫১), সাকিব আল হাসান (৫৩) ও মুশফিকুর রহিমের (৫৬*) ব্যাটিং নৈপুণ্যে ৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক ও আশরাফুল (৮*)।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাচ্ছে মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিক এমএস ধোনি: ‘দ্য আনটোল্ড স্টোরি’। ধোনির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। নিউইয়র্কে তার বায়োপিক রিলিজ সম্পর্কিত এক অনুষ্ঠানে খেলোয়াড়ী জীবনের সবচেয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতাই জানালেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। কী সেই বাজে অভিজ্ঞতা? ২০০৭ সালে বাংলাদেশের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল ভারত। সেই হারের দুঃস্মৃতি এখনো পোড়াচ্ছে ধোনিকে।
রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজে মাটিতে ২০০৭ বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিয়েছিল ভারত। গ্রুপপর্বে বারমুডার বিপক্ষে জয় পেয়েছিল তারা। কিন্তু শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের কাছে হেরেছিল টিম ইন্ডিয়া। দেশে ফেরার পর সমর্থকের রোষের কবলে পড়তে হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের। দ্রাবিড় ও ধোনির বাড়িতে ঢিল ছুঁড়েছিলেন ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। ঘটনার স্মৃতিচারণ ধোনি করলেন এভাবে, ‘ভারত ক্রিকেট ম্যাচ হারলে সমর্থকরা এমন আচরণ করেন মনে হয়, আমরা কোনো বড় অপরাধ করেছি। আমরা খুনি কিংবা আমরা আতঙ্কবাদী।’
দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পর ভারতীয় ক্রিকেটারদের কী অবস্থা হয়েছিল? তার বর্ণনা দিতে গিয়ে ধোনি বলেন, ‘দিল্লিতে নামার পর দেখি, প্রচুর মিডিয়া অপেক্ষা করছিল। আমাদের পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গাড়িতে আমি ঠিক শেবাগের পাশে বসেছিলাম। গাড়ির গতি ছিল ৬০-৭০ কিমি। রাস্তাটা ছিল সরু। মিডিয়ার গাড়িও আমাদের পেছনে চলছিল। তাদের ক্যামেরা ও লাইট আমাদের গাড়ির উপর পড়ছিল। মনে হচ্ছিল আমরা কোনো বড় অপরাধ করেছি। কিছুটা যাওয়ার পর পুলিশ স্টেশনে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে আমরা প্রায় ১৫-২০ মিনিট বসেছিলাম। তার পর আমাদের গাড়ি ছেড়েছিল। এই ঘটনা আমার জীবনে বিরাট প্রভাব ফেলেছিল। অনেকে মনে করেন, আমাদের কোনো আবেগ নেই। কিন্তু খেলোয়াড়দেরও আবেগ থাকে, সেটা বুঝতে পারে না। তবে এমন নয় যে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে আমরা কান্নাকাটি করব।’
Post a Comment