আফগানিস্তান সিরিজেই খেলতে চান তামিম
হাতে সময় বেশি নেই, ২৫ সেপ্টেম্বরই আফগানিস্তান সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। তার আগে অন্তত চারটি সেশন ব্যাটিং করতে চান তামিম ইকবাল। সম্ভাবনার আকাশে তাই অনিশ্চয়তার ঘন মেঘ। তবে আঙুলের চোটের কারণে তিন সপ্তাহের বিশ্রামের শেষ দিনে প্রবল আশাবাদী তিনি, ‘মনে হচ্ছে আফগানিস্তান সিরিজটা খেলতে পারব। অন্তত আমি আশাবাদী। খুব চাইও খেলতে।’
গত মাসে ক্যাচিং অনুশীলনের সময় বাঁ হাতের আঙুলে চোট পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। সামান্য চিড় ধরা পড়ে ডাক্তারি পরীক্ষায়। এরপর জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলামের পরামর্শে তিন সপ্তাহের বিশ্রামে তামিম ইকবাল।
তিনি নিজে দ্রুতই মাঠে ফেরার ব্যাপারে প্রবল আত্মবিশ্বাসী, ‘আঙুলে কোনো ব্যথা নেই। ব্যাট ধরলে পরে অবশ্য সবটা বোঝা যাবে।’ ব্যাট হাতে নেটে নামার আগে চিকিৎসকের অনুমতি অপরিহার্য মনে করছেন তামিম, ‘আমার তো মনে হচ্ছে এখনই ব্যাটিং করতে নামি। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কাল-পরশু (আজ-কাল) ব্যান্ডেজ খোলার কথা। সেটা দেখে উনারা (চিকিৎসক) বলবেন কী করতে হবে। এরপর বাকিটা আমার হাতে।’
নিজের হাতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এলে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবেন না তামিম ইকবাল, ‘২১ সেপ্টেম্বরের আগে যদি নেট করতে পারি আর কোনো অসুবিধা না হয় তাহলে আমি খেলব।’ এতটা মরিয়া হওয়ার অনেকগুলো কারণও আছে তার, ‘কত দিন হলো ওয়ানডে খেলি না।’ আসলেই তো। সেই গত নভেম্বরে জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর আর এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেনি বাংলাদেশ। মাঝে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগও শেষ হয়েছে প্রায় দুই মাস আগে। তামিম কেন, বাংলাদেশ দলের সবারই ‘লোভাতুর’ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার কথা আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দিকে।
এ মাসের শেষ দিনেই আসছে ইংল্যান্ড। আফগানিস্তান সিরিজ নিয়ে তামিমের আগ্রহের আরেকটি কারণও এটা, ‘ইংল্যান্ড সিরিজটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই রকম একটা সিরিজের আগে যে কেউই সর্বোচ্চ প্রস্তুতিটা সেরে নিতে চাইবে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে অন্তত গোটা দুয়েক ম্যাচও যদি খেলতে পারি…। সে আপনি রান করুন কিংবা ব্যর্থ হন, লম্বা বিরতির পর এরকম একটি সিরিজ আপনার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে খুব কাজে দেয়।’ তাহলে ইংল্যান্ড সিরিজে নিজেকে আর ‘প্রাথমিকে’র ছাত্র মনে হবে না তামিমের।
আফগানিস্তান সিরিজের অন্য গুরুত্বও আছে তামিমের কাছে, ‘আমি এটাকে দেখছি এভাবে যে, সিরিজটা খেলতে পারলে আরো তিনটি ওয়ানডে যোগ হবে আমার ক্যারিয়ারে। প্রত্যেকেরই নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে, আমারও আছে।’
ইনজুরি অন্য শঙ্কাও কি জাগায় না মনে? এমন উদাহরণ তো কম নেই যে, অন্যের চোটের সুবাদে পাওয়া সুযোগটা কাজে লাগিয়ে দলে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন অন্য কেউ। প্রতিপক্ষ যখন আফগানিস্তান, তখন…! ‘এ নিয়ে মনে ভয় কাজ করে না। তবে আমিও কিংবা অন্য কেউই দলে নিজের জায়গা সহজে ছেড়ে দিতে চাইবে না, চায়ও না। আমি বিষয়টাকে দেখি এভাবে, নিতান্ত বাধ্য হয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়লে কিছু করার নেই। কিন্তু ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্তটা যখন আমার হাতে, তখন আমাকে কেউ মাঠের বাইরে রাখতে পারবে না। আর মাঠে নামলে এমন কিছু করতে চেয়েছি এবং চাই সব সময়, যেন কেউ আমার চ্যালেঞ্জার হয়ে উঠতে না পারে’, প্রত্যয়ী তামিম ইকবাল।
২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত তামিম অবশ্য এখনো পর্যন্ত সব ফরম্যাটের বাংলাদেশ দলে ‘অজেয়’ই আছেন।
সূত্র: কালের কণ্ঠ
Post a Comment