তিন পেসার নিয়ে নামছে বাংলাদেশ, থাকছেন না নাসির-সৈকত
লক্ষ্য বা ইচ্ছে পূরণ যাই বলা হোক না কেন, অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, আমরা যে জায়গায় শেষ করেছিলাম, ঠিক সে জায়গা থেকেই আবার শুরু করতে চাই। বলার অপেক্ষা রাখেনা, এই যে জায়গা বলতে টাইগার ক্যাপ্টেন বুঝিয়েছেন গত বছর শেষ চার চরটি সিরিজ বিজয়ের কথা।
যে চার সিরিজের মধ্যে তিনটি আবার বিশ্বের বাঘা বাঘা তিন দল পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। আর শেষ সিরিজ বিজয় পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে নভেম্বর- এই আট মাস টিম বাংলাদেশের জয়রথ সচল ছিল। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে আগে কখনোই এমন সোনালী সাফল্যর ছোঁয়া লাগেনি।
পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ আর ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২-১` এ সিরিজ বিজয়- এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা টানা সাফল্য।
বোঝাই যাচ্ছে সেই নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের সাথে শেষ ওয়ানডে খেলার ১০ মাস পর আবার একদিনের ক্রিকেটে ফেরার আগে অধিনায়ক মাশরাফি সেই সাফল্যে মোড়ানো দিনে ফিরতে চাচ্ছেন। রোববার শেরে বাংলায় শুরু টাইগারদের সাফল্য ধরে রাখার মিশন।
শুধু লক্ষ্য এক ও অভিন্নই নয়। ভিতরের খবর, টিম বাংলাদেশের পরিকল্পনা ও একাদশ সাজানোর প্রক্রিয়াও থাকছে অভিন্ন। বলার অপেক্ষা রাখে না, ভারত-পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে যেমন ছকে দল সাজানো হয়েছিল, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেও সেই ফর্মেশনই থাকছে। টিম ম্যানেজমেন্ট সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ মাঠে নামছে তিন পেসার নিয়ে।
ইতিহাস ও পরিসংখ্যান জানাচ্ছে ভারতের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে চার পেসার (মাশরাফি, তাসকিন, রুবেল ও মোস্তাফিজ) খেলানো হয়েছিল। তাতে সাফল্যও ধরা দিয়েছে। প্রথমবার ভারত বধের অবিস্মরনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
পাকিস্তানের সাথে তিন ম্যাচেই তিন পেসার খেলেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম দিন দুই পেসার নিয়ে হারের পর শেষ দুই ওয়ানডেতে তিন পেসার নিয়ে মাঠে নামায় ভাগ্য বদল।
বোঝা যাচ্ছে আফগানিস্তানের সাথে সেই পথে হাটার চিন্তাই চলছে। তার মানে, পেস বোলারদের ওপর ভরসা বেড়েছে অনেক। তা যে বেড়েছে, তার প্রমাণ অধিনায়ক মাশরাফির কন্ঠেই মিললো, টাইগার অধিনায়ক জানিয়ে দিয়েছেন আমাদের বোলিং এখন বিশ্ব মানের। তাই পেস বোলিং কেন্দ্রিক বোলিং লাইন আপ নিয়ে মাঠে নামা।
আগে অনেক কথা-বার্তা শোনা গেলেও শনিবার সন্ধ্যার পর টিম মিটিংয়ে একাদশ চূড়ান্ত হয়েছে। সেখানে ৭ প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানের সাথে তিন পেসার এবং দুই স্পেশালিষ্ট স্পিনার দিয়ে একাদশ সাজানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক কথা, সেই ইনফর্ম পারফরমার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকৎ সম্ভবত টিম কম্বিনেশনের কারণে রোববারের ম্যাচে দলে জায়গা পাচ্ছেন না।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত একা নন। দলে জায়গা হয়নি একই ক্যাটাগরির (মিডল অর্ডার কাম অফস্পিনার) নাসির হোসেনেরও। তাদের বাইরে রেখেই দল সাজানো হয়েছে। এই দুজন বাইরে থাকায় জায়গা মিলে যাচ্ছে ইমরুল কায়েসের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর ১১ নভেম্বর এই শেরে বাংলায় জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ৭৩ রান করেছিলেন ইমরুল। তামিম-সৌম্যর পর এ বাঁ-হাতিকে তিন নম্বরে দেখা যেতে পারে। ১৪ জনের দলে থাকা চার পেসারের যে কোনো তিনজন খেলবেন। সেখানে অধিনায়ক মাশরাফি অটোমেটিক চয়েজ। তাসকিন, রুবেল ও শফিউলের যে কোন দুজনকে খেলানো হবে।
বাঁ-হাতি সাকিব আল হাসানের সঙ্গী হিসেবে আরেক বাঁহাতি তাইজুলকে দিয়ে পূর্ণ করা হবে ১১ নম্বর পজিশন।
তার মানে একাদশ দাড়াচ্ছে এরকম:
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম/রুবেল হোসেন ও তাসকিন তাসকিন।
Post a Comment