জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক কমিটিতে বদলে ফেলা হচ্ছে বহুদিনের প্রচলিত কাঠামো
আগেই জানানো হয়েছিলো জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক কমিটিতে বড় ধরণের পরিবর্তন আসছে। বদলে ফেলা হচ্ছে বহুদিনের প্রচলিত কাঠামো। সেই পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে বিসিবি। তিন নির্বাচকদের সাথে কোচ, জাতীয় দলের ম্যানেজার এবং ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যানকে রেখেই দুই স্তরের নির্বাচক কমিটি করার সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে দুই স্তরের নির্বাচক কমিটির ব্যাপারটি নতুন। এটা জানানো হলো রোববার। কোচ, অধিনায়ক এবং বোর্ড পরিচালকদের নিয়ে সভায় বসেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সভা শেষে তিনি জানালেন আগের মতোই থাকছে, তবে আরেকটু পরিবর্তন আসবে। অধিনায়ক নন, থাকবেন কোচ। আগের সিদ্ধান্ত বদলে রাখা হবে প্রধান নির্বাচকের পদও।
বিসিবি সভাপতি জানালেন, ‘এর আগে আপনাদের যেমন জানিয়েছিলাম, প্রায় সেরকমই আছে। নতুন কিছু আইডিয়াও এসেছে। প্রধান নির্বাচকের ব্যাপারে আজকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রধান নির্বাচক থাকবে। নির্বাচক কমিটিতে সদস্য হবেন ছয় জন।’
দুই স্তরের ব্যাপারটি নিয়ে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘সিলেকশন প্রক্রিয়াকে আমরা দুই ভাগে ভাগ করেছি। একদম আগের মতো না, জিনিসটা একই কিন্তু একটু ভিন্নও। এখন সিলেকশন প্যানেল থাকছে একটা। এই সিলেকশন প্যানেলে থাকবেন তিন জন নির্বাচক। তাদের একজন প্রধান নির্বাচক থাকবেন।’
এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি আরো বলছেন, ‘আরেকটা থাকবে, যেটাকে আমরা নাম দিয়েছি সিলেকশন কমিটি। সিলেকশন কমিটি যে গিয়ে গিয়ে নির্বাচন করবে তা নয়। সিলেকশন কমিটিতে যাদের কথা বলেছিলাম তারাই থাকছে। তিন নির্বাচক থাকবে, সাথে প্রধান কোচ থাকবে এবং টিম ম্যানেজার থাকবে।’
সব মিলিয়ে নির্বাচক কমিটি হবে ছয় সদস্যের। নির্বাচক প্যানেলের তিন জন, এর সাথে কোচ ও ম্যানেজারের পাশাপাশি এই কমিটির আহবায়ক হিসেবে কাজ করবেন ক্রিকেট অপরাশেন্স কমিটির চেয়ারম্যান।
ম্যানেজারের দায়িত্ব কি থাকবে? এমন প্রশ্নে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘ম্যানেজারের দায়িত্ব হচ্ছে, অধিনায়ক, সহ-অধিনায়ক যারা আছে তাদের মতামত, ওদের চিন্তাধারা উপস্থাপন করা। ওই অনুযায়ী তারা তাদের নির্বাচনের কাজ শুরু করবেন। ওখানে সকলে মিলে স্বাক্ষর করে আমার কাছে পাঠাবে। এখানে দ্বিমত থাকার কোনো সুযোগ নেই। এই নির্বাচক কমিটির আহবায়ক হিসেবে থাকবেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান।’
আগে কথা হয়েছিলো সবার সাথে অধিনায়ককে রাখার ব্যাপারেও। কিন্তু সেই জায়গা থেকে সরে আসা হয়েছে, ‘আলাপ-আলোচনা ছিল ম্যানেজার বা অধিনায়ককে রাখার ব্যাপারে। কখনও ম্যানেজার এলো বা কখনও অধিনায়ক এলো। সব দিক চিন্তা করে দেখেছি, ম্যানেজার হলে কোনো অসুবিধা নেই।’
আগের সভায় শেষ বিসিবি সভাপতি বলেছিলেন সব ম্যাচ না দেখলেও ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ দেখার ব্যাপারে কোচের বাধ্যবাধকতা থাকবে। কিন্তু রোববার বলা হলো অন্যরকম, ‘কোচের খেলা দেখার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে কোচ আজকেই কয়েকজন খেলোয়াড়ের কথা বলছিলেন। খেলা যে দেখতেই হবে তা না। কিন্তু ঢাকায় থাকলে খেলা দেখবে। খেলা দেখতে যে তাকে বাইরে যেতে হবে তা না, কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।’ আগামী বোর্ড সভায় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।
Post a Comment