Header Ads

আইপিএলের নবম আসরে হায়দরাবাদ নিজেদের নিয়ে গেছে নতুন উচ্চতায়

২০১৩ সাল থেকে আইপিএল যাত্রা শুরু হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। আগের আসরগুলোতে এখানে খেলে গেছেন কুমার সাঙ্গাকারা, ডেল স্টেইন, ড্যারেন স্যামি, থিসারা পেরেরা, ক্যামেরন হোয়াইটের মতো তারকা ক্রিকেটাররা। কিন্তু কোনোবারই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়নি হায়দরাবাদ। ২০১৩ সালে শেষ চারে জায়গা করে নিলেও সেবার বিদায় নিতে হয়েছিল প্লে-অফ থেকেই। আর পরের দুটি আসরে গ্রুপ পর্বের বাধাই পেরোতে পারেনি তারা। এবার আইপিএলের নবম আসরে হায়দরাবাদ নিজেদের নিয়ে গেছে নতুন উচ্চতায়।
এলিমিনেটর ম্যাচে দুবারের শিরোপাজয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়ে জায়গা করে নিয়েছে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে। এর ফলে আরো উজ্জ্বল হয়েছে হায়দরাবাদের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন। শুক্রবার গুজরাট লায়নসকে হারাতে পারলেই প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলতে পারবে হায়দরাবাদ। এবারের মৌসুমে দারুণ এই সাফল্যের পর তাই একটা প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই এসে যাচ্ছে : বাংলাদেশের তরুণ পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে দলে ভিড়িয়েই কি বদলে গেছে হায়দরাবাদের চালচিত্র?
আইপিএল নিলামে মুস্তাফিজকে দলে ভেড়ানোর জন্য ভালোই লড়াই চালিয়েছিল হায়দরাবাদ ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ভিত্তিমূল্য ৫০ লাখ রুপি হলেও শেষ পর্যন্ত মুস্তাফিজকে পাওয়ার জন্য এক কোটি ৪০ লাখ রুপি খরচ করতে হয়েছে হায়দরাবাদকে। আর এই পরিমাণ অর্থ খরচ যে মোটেও বৃথা যায়নি, তা খুব দারুণভাবেই প্রমাণ করেছেন মুস্তাফিজ। এখন পর্যন্ত আইপিএলের প্রতিটি ম্যাচেই অসাধারণ বোলিং করে ব্যাপক অবদান রেখেছেন দলের জয়ের পেছনে।
হায়দরাবাদে আগে থেকেই ছিলেন নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। অভিজ্ঞ এই বোলারকে বাদ দিয়ে মুস্তাফিজকে খেলানো হবে কি না, তা নিয়ে হয়তো শুরুতে সংশয় ছিল অনেকের। কিন্তু প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই বাজিমাত করেন ‘ফিজ’। হায়দরাবাদের বোলারদের নাজেহাল করে দিয়ে স্কোরবোর্ডে ২২৭ রান জমা করেন গেইল, কোহলি, ডি ভিলিয়ার্সরা। কিন্তু প্রতিপক্ষের এই রানের পাহাড়ের সামনে মুস্তাফিজের বোলিং ফিগারটা ছিল দেখার মতো। চার ওভার বল করে মাত্র ২৬ রানের বিনিময়ে নিয়েছিলেন দুটি উইকেট। আর কলকাতার বিপক্ষে পরের ম্যাচে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলকে যেভাবে ভূপাতিত করেছিলেন, তা স্মরণীয়ই হয়ে থাকবে আইপিএল ইতিহাসে। 
প্রথম দুটি ম্যাচে হার দিয়ে হায়দরাবাদের শুরুটা ভালো না হলেও মুস্তাফিজ দলে জায়গা করে নেন পাকাপাকিভাবে। আর পরের ম্যাচগুলোতেও নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দারুণভাবেই দিয়েছেন ২০ বছর বয়সী এই পেসার। অনেক ম্যাচেই হায়দরাবাদ জয় পেয়েছে ডেথ ওভারে মুস্তাফিজের দারুণ বোলিংয়ের কারণে। ১৪ ম্যাচের আটটিতে জয় দিয়ে জায়গা করে নিয়েছে শেষ চারের লড়াইয়ে। এলিমিনেটর ম্যাচে কলকাতাকে হারিয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেছে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলার পথে। 
আইপিএলে এখন পর্যন্ত ১৫টি ম্যাচ খেলে মুস্তাফিজ নিয়েছেন ১৬টি উইকেট। তবে এই পরিসংখ্যান না, মুস্তাফিজ সবচেয়ে বেশি সাড়া জাগিয়েছেন বিস্ময়কর ইকোনমি রেট দিয়ে। টি-টোয়েন্টির মারমুখী ব্যাটিংয়ের যুগে আইপিএলে তিনি ওভারপ্রতি দিয়েছেন মাত্র ৬.৭৩ রান। গত এপ্রিলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে মাত্র ৯ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছিলেন ‘ফিজ’।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.