Header Ads

মুস্তাফিজুরের আরো যত্ন নেওয়া জরুরি - রবী শাস্ত্রী

মুস্তাফিজুরের আরো যত্ন নেওয়া জরুরি। এ রকম খাঁটি প্রতিভাকে লালন করার আরো লোক চাই। ছেলেটা কিন্তু এখনো শরীর আর মনের দিক থেকে কিশোরই, পুরুষ হয়ে ওঠা বাকি। শরীরটাও তাই পুরোপুরি শক্তপোক্ত হয়ে ওঠেনি। ওর মতো প্রতিভাকে কিন্তু খুব সাবধানে, বুঝেসুঝে ব্যবহার করতে হবে। সম্প্রতি ভারতের ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’য় প্রকাশিত একটি মন্তব্য প্রতিবেদনে এমনটাই বলেছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার রবী শাস্ত্রী।
মুস্তাফিজুরের ভাণ্ডারে কী ধরনের অস্ত্র রয়েছে এ প্রসঙ্গেও তিনি প্রতিবেদনে আলোকপাত করেন।  তিনি বলেন, মুস্তাফিজুরের একটা বিরল ডেলিভারি আছে। এমনিতে ওর অস্ত্র দুরন্ত সুইং, ধারালো কাটার, আর এমন একটা ইয়র্কার, যেটা ব্যাট থামাবে সাধ্য কী! তবে মুস্তাফিজুরের শোকেসের ব্রহ্মাস্ত্র হলো সেই ডেলিভারিটা, যেটা পিচে পড়ে থমকে গিয়ে ব্যাটসম্যানের সামনে লাফিয়ে ওঠে। আর বেশির ভাগ সময়ই ব্যাটসম্যান সেটা কভারের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে ফেরে। এই বলটা করার সময় ওর বোলিং অ্যাকশনে কিন্তু কোনো পরিবর্তন হয় না। আসল খেলাটা থাকে ওর কব্জিতে। সবটাই বলটা ছাড়ার কায়দা।
মন্তব্য প্রতিবেদনে মুস্তাফিজুরকে ‘বিস্ময়প্রতিভা’ উল্লেখ করে বলেন, কয়েক মাসের মধ্যেই মুস্তাফিজুর এমন একটা সমীহ আদায় করে নিয়েছে, যেটা অনেক পেশাদার বোলারের তৈরি করতে সারা জীবন লেগে যায়। মনে হচ্ছে যেন গতকালই ছেলেটা বাংলাদেশে ওর গ্রামের পুকুরের পাশে বসে ছিল।
রবী শাস্ত্রী মুস্তাফিজুরকে সাবধান করে বলেন, আইপিএলেই আর এক তরুণ ক্রিকেটার ঋষভ পন্থ মুস্তাফিজুরের জারিজুরি কিন্তু ধরে ফেলেছিল। এক ডজন বলের মধ্যে বেশ কয়েকটা চার আর ওভার বাউন্ডারি খেতে হয়েছে মুস্তাফিজুরকে। বাংলাদেশে আলোচনা হচ্ছে, মুস্তাফিজুর ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। অন্তত বোলারের ঘনিষ্ঠমহলের তেমনই দাবি। সুতরাং ওর মতো প্রতিভাকে খুব সাবধানে, বুঝেসুঝে ব্যবহার করার বিকল্প নেই।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.