মুস্তাফিজ যেন মাঠে নামতে পারেন, সেই চেষ্টা সর্বাত্মকভাবেই করে যাচ্ছে হায়দরাবাদ
আইপিএলজুড়েই দুর্দান্ত বোলিং করে ক্রিকেট বিশ্বের নজর কেড়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এ সময়ের সেরা বোলার হিসেবেও অনেকে বিবেচনা করছেন মুস্তাফিজকে। কিন্তু আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই বাংলাদেশের এই পেসারকে মাঠে পায়নি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ইনজুরির কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন ‘ফিজ’। তবে শিরোপা জয়ের অন্তিম লড়াইয়ে মুস্তাফিজ যেন মাঠে নামতে পারেন, সেই চেষ্টা সর্বাত্মকভাবেই করে যাচ্ছে হায়দরাবাদ।
গুজরাট লায়নসের বিপক্ষে মুস্তাফিজ মাঠে নামতে না পারায় প্রথমবারের মতো হায়দরাবাদের প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। কিন্তু মুস্তাফিজের অভাবটা পূরণ করতে পারেননি তিনি। চার ওভার বল করে একটি উইকেট পেলেও দিয়েছিলেন ৩৯ রান। ইনিংসের শেষপর্যায়ে মুস্তাফিজ যেরকম কৃপণ বোলিং করে ব্যাটসম্যানদের বিপাকে ফেলে দেন, তার কিছুই করতে পারেননি বোল্ট। নিজের শেষ দুই ওভারে তিনি দিয়েছিলেন ২৬ রান।
ফলে আজ শিরোপা জয়ের অন্তিম লড়াইয়ে মুস্তাফিজকে খুব করেই দলে চাইবে হায়দরাবাদ। আর মুস্তাফিজকে সুস্থ করে তোলার সর্বোচ্চ চেষ্টাও করে যাচ্ছেন হায়দরাবাদের চিকিৎসকরা। দলের বোলিং আক্রমণের অন্যতম সেরা অস্ত্রটিকে মাঠে পাওয়ার জন্য শেষপর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে হায়দরাবাদের পক্ষ থেকে।
ফাইনালে মুস্তাফিজের হায়দরাবাদকে খেলতে হবে ক্রিস গেইল, বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স, শেন ওয়াটসনদের নিয়ে গড়া রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে। গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচে এ সময়ের সেরা এই ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে ভালো বোলিংও করেছিলেন মুস্তাফিজ। প্রথম ম্যাচে চার ওভার বল করে মাত্র ২৬ রানের বিনিময়ে নিয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স ও শেন ওয়াটসনের উইকেট। সেই ম্যাচে ২২৭ রানের পাহাড় গড়ে ব্যাঙ্গালোর জিতেছিল ৪৫ রানে। আর ফিরতি লেগের ম্যাচে মুস্তাফিজ তুলে নিয়েছিলেন বিরাট কোহলির উইকেট। মাত্র ১৪ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয়েছিল কোহলিকে। এই ম্যাচে হায়দরাবাদ পেয়েছিল ১৫ রানের জয়। এবার শিরোপা জয়ের অন্তিম লড়াইয়ে শেষ হাসি কারা হাসতে পারবে, সেটাই দেখার বিষয়।
Post a Comment