Header Ads

বিসিবিতে ৩ হাজার আমন্ত্রিত অতিথির ‘মেজবান’ আজ

বিসিবিতে ৩ হাজার আমন্ত্রিত অতিথির ‘মেজবান’ কাল
হোম অব ক্রিকেট শেরেবাংলায় হঠাৎ অন্যরকম প্রাণচাঞ্চল্য। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ভেতরে ঢুকলে চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে যে কারো। স্টেডিয়ামের ২ নম্বর বা মূল গেটের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেও অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখবেন- ভেতরে বিশাল প্যান্ডেল। আর সেই প্যান্ডেল পার হয়ে আরেকটু ভেতরে গেলেই চোখে পড়বে গরুর বহর। হঠাৎ এসব কেন? কোনো বড়সড় আয়োজন নিশ্চয়ই। হ্যাঁ, তা-ই। মাশরাফি-মুশফিক-সাকিব-তামিমদের সাফল্য উপলক্ষে এক মহাভোজের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। 

আগামীকাল সোমবার দুপুরে শেরেবাংলায় সেই মহাভোজ। জাতীয় দলের গত দুই বছরের বেশি সময়ের অর্জন, সাফল্য ও প্রাপ্তি উপলক্ষেই এ আয়োজন। বিসিবির শীর্ষ পর্যায় থেকে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোও হয়েছে। যাকে ঠিক সংবর্ধনা বলা যাবে না। তার চেয়ে বরং একটা ক্রিকেটীয় সম্মিলন বলাই যুক্তিযুক্ত হবে। 

যার উপলক্ষ অবশ্যই জাতীয় দলের সাফল্য। তবে সে সাফল্যকে বরণ করে রাখতে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন। 
যেখানে জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফসহ ক্রিকেট সম্পৃক্ত সব মহল ও বিভাগের মানুষের উপস্থিতি ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সেভাবে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে। 

ক্রিকেট দলের অর্জন ও সাফল্য স্মরণীয় করে রাখতে বিভিন্ন ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড সফল করতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে যাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাহায্য সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার প্রয়োজন পড়ে- সে সংশ্লিষ্ট সবাই আমন্ত্রিত। 
সঙ্গে ঢাকার সব ক্লাব, জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ের ক্রিকেট সংগঠক, বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রচারমাধ্যমকেও নিমন্ত্রণ করা হয়েছে।
 
জানা গেছে, এ মহাযজ্ঞের আনুষ্ঠানিক নামকরণ করা হয়েছে ‘মেজবান।’ বলার অপেক্ষা রাখে না যে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিভাগ ও জেলা শহর চট্টগ্রামে কোনো বড়সড় ভোজ পর্বকে ‘মেজবান’ বলা হয়। যে মেজবানের মূল বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে মেন্যুতে গরুর গোশতের আধিক্য এবং সঙ্গে সাদা ভাত। এই মেজবানের রেসিপি ও রন্ধনশৈলিও খানিকটা ভিন্ন। 

চট্টগ্রামের লীল মিয়া বাবুর্চি: 
বাংলাদেশের যে কোনো অঞ্চলের চেয়ে বন্দরনগরীর বাবুর্চিরাই যে মেজবানের রান্নায় সিদ্ধহস্ত। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান বোর্ড পরিচালক এবং চট্টগ্রামের সন্তান আকরাম খান বিসিবির এই মেজবানের বিশেষ রান্নার জন্য বন্দরনগরীর নামি বাবুর্চি লীল মিয়াকে আনার ব্যবস্থা করেছেন। তিনিই আগামীকাল ওই মেজবানের রান্না করবেন। 
জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়ে আকরাম বলেন, ‘আমি অবশ্য পুরো মেজবানের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছি না। তবে যেহেতু মেজবান তাই চট্টগ্রামের বাড়ি না হলে আয়োজন জমবে না। তাই আমাকে বাবুর্চি জোগাড় করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আমি আমাদের চট্টলার অন্যতম সেরা বাবুর্চি লীল মিয়াকে কনফার্ম করেছি। তিনিই রান্না করবেন।’

এক ব্যাচে ৯০০ জনের খাবার ব্যবস্থা :
শেরেবাংলার ভেন্যু ম্যানেজার আব্দুল বাতেন পুরো আয়োজনটি তদারকির দায়িত্বে। তার সঙ্গে বিসিবি প্রধানের বিশেষ সহকারী তৌহিদও আছেন ব্যবস্থাপনায়। আব্দুল বাতেন জানিয়েছেন, এ মেজবান উপলক্ষে গাবতলী হাট থেকে গরু কেনা হয়েছে। কাল দুপুরের পর থেকেই শেরেবাংলার একাডেমির সামনে সে গরু বহর দেখাও গেছে। ৩ হাজার আমন্ত্রিত অতিথিকে আপ্যায়নের সমুদয় পরিকল্পনা ও ব্যবস্থা মোটামুটি সম্পন্ন।
 
এ বিশাল মেজবান হবে কোথায়? বিসিবিতে এত বিশাল ভোজন পর্বের জায়গা কই? এসব প্রশ্নের জবাবে বাতেন জানান, শেরেবাংলার ২ নম্বর বা মেইন গেট দিয়ে ঢোকার পর একাডেমির সামনে হয়ে মিডিয়া সেন্টারের দিকে যেতে যে বিরাট খালি জায়গা, সেখানে ভারি প্লাস্টিকের বিশাল প্যান্ডেল করা হয়েছে, যা শুধু বৃষ্টি প্রুফই নয়, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিতও। 

বাতেন ও তৌহিদ জাগো নিউজকে পুরো আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে জানান, ওই প্যান্ডেলে এক সঙ্গে ৯০০ জনের খাবার ব্যবস্থা থাকবে। একটি ব্যাচে খাবার চলাকালীন ওই প্যান্ডেলের ভেতর ৩০০ জন চেয়ারে বসে পরের ব্যাচে খাবারের অপেক্ষায় থাকতে পারবেন। 

মেন্যু: 
সাদা ভাত, কালো ভুনা, গরুর তরকারি ও মুরগির রোস্ট। বাতেন জানান, সাধারণত মেজবানে যেমন মেন্যু থাকে এখানেও তা-ই থাকবে। পোলাও-বিরিয়ানি নয়, সাদা ভাত। সঙ্গে গরুর কালো ভুনা। এছাড়া গরুর গোশতের আরো একটি তরকারি। মুরগির রোস্ট এবং দই।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.