Header Ads

একে ‘ক্রিকেটের মহান অনিশ্চয়তা’ বলবেন? নাকি বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতা

একে ‘ক্রিকেটের মহান অনিশ্চয়তা’ বলবেন? নাকি বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতা?
৫২ বলে ৩৯ রান দরকার। হাতে ৬ উইকেট। সেটাও বড় কথা, উইকেটে থাকা দুই ব্যাটসম্যান যেভাবে ব্যাটিং করছেন, মনে হচ্ছে ব্যাটিং করা পৃথিবীর সহজতম কাজ। জ্বি, সেখান থেকেই বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরে গেল ২১ রানে। ইংল্যান্ডের ৩০৯–এর জবাবে বাংলাদেশ অলআউট ২৮৮ রানে।
একে ‘ক্রিকেটের মহান অনিশ্চয়তা’ বলবেন? নাকি বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতা?
৯ রানের মধ্যে বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলল ৫ উইকেট। ৪ উইকেটে ২৭১ থেকে মুহূর্তেই স্কোর হয়ে গেল ৯ উইকেটে ২৮০। জয় তখনো ৩০ রান দূরে। এটাই পার্থক্য। হাতে উইকেট থাকলে ৩৯ রান মনে হয়, এই তো পাশের বাড়ি। আর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তাসকিন যখন খেলতে নামলেন, ৩০ রান মনে হচ্ছিল মঙ্গলগ্রহের দূরত্ব। অথচ ৩৯ থেকে ৩০ মাত্র ৯ রানের ব্যবধান। এর মধ্যেই ঘটে গেল এত কিছু। মুহূর্তেই বদলে গেল রং, সব সমীকরণ।
এই ‘৯ রান’ বাংলাদেশের ক্রিকেটের আরেক চির–আক্ষেপ হয়ে থাকবে। মুলতান ও ২০১২ এশিয়া কাপ ফাইনালের পাশাপাশি! এই ৯ রানের ভেতরেই তো যাবতীয় সর্বনাশ! বাংলাদেশ ম্যাচটা ২১ রানে হেরেছে সেটাই হয়তো মনে রাখবে সবাই। কিন্তু আজ জয়োৎসবের প্রস্তুতি নিতে থাকা প্রতিটি মানুষ মনে রাখবে সেই ৯ রানের কথা।
আর ইমরুল কায়েস? তিনি মনে রাখবেন কীভাবে?
দেখেছেন, ম্যাচ রিপোর্টের তৃতীয় প্যারায় এসে আসছে ইমরুলের রান। নীরবে রান করে যান বলে তারকা খ্যাতি এখনো জোটেনি। অত গ্ল্যামার যে নেই। ব্যাটিংয়ের ধরন যে অনেকটাই পাল্টে ফেলেছেন, এটা যেন অনেকেই মাত্র কদিন আগে আবিষ্কার করল। আজ সেই ইমরুল ১১২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেললেন। সাড়ে ছয় বছর পর ওয়ানডে সেঞ্চুরি। আজ তাঁর নায়ক হওয়ার কথা। কিন্তু কেউ তো মনেই রাখবে না এই সেঞ্চুরি। ইমরুল সতীর্থদের বলতেই পারেন, ‘এমনিতেই আলোতে আসি না। তোরা তো পণই করেছিস, আসতেই দিবি না।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩০৯/৮ (স্টোকস ১০১, বাটলার ৬৩, ডাকেট ৬০, রয় ৪১; মাশরাফি ২/৫২, শফিউল ২/৫৯, সাকিব ২/৫৯)
বাংলাদেশ: ৪৭.৫ ওভারে ২৮৮ (ইমরুল ১১২, সাকিব ৭৯, মাহমুদউল্লাহ ২৫, সাব্বির ১৮; বল ৫/৫১, রশিদ ৪/৪৯)
ফল: ইংল্যান্ড ২১ রানে জয়ী।
প্রথম অালো

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.