প্রেমিকার টানে বউকে লাল কার্ড দেখালেন রেফারি!
হাওয়ার্ড ওয়েব বিশ্ব বিখ্যাত রেফারি। ফুটবল প্রেমীরা তাকে এক নামে চেনেন। কিন্তু খ্যাতি (!) তার বিতর্কেও। বিশ্ব ফুটবলের মঞ্চেও অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। এবার আলোচনার জন্ম দিয়েছেন প্রেমিকার টানে দীর্ঘদিন ঘর করা বউকে লাল কার্ড দেখিয়ে!
৪৫ বছরের ওয়েব একেবারে টিনএজ বয়সে সমবয়সী 'ব্লন্ড' সুন্দরী কের প্রেমে পড়েন। ২৯ বছর আগে দুজনের পরিচয় ইয়র্কশায়ারের একটি ব্যাংকে কাজ করতে গিয়ে। দুজনই ইংল্যান্ডের। কের তখন বয়ফ্রেন্ড আছে। কিন্তু ওয়েবের প্রেমের টানে তারই ঘরণী হয়েছেন ১৯৯৫ সালে। দীর্ঘ পথচলায় এখন ৩টি টিনএজার সন্তানের বাবা-মা তারা। কিন্তু সম্প্রতি সেই কের কাছ থেকে ডিভোর্স নিলেন ওয়েব। আর তা ৩৭ বছরের জার্মান 'ব্লন্ড' বিবিয়ানা স্তিনহসের প্রেমের টানে।
জার্মানির পেশাদার ফুটবলের প্রথম নারী রেফারি বিবিয়ানা। ওয়েব কখনো কিছু লুকান না। তাই বিবিয়ানার সাথে যখন তখন জার্মানিতে দেখা যায় তাকে। বছরের গোড়া থেকেই তা ঘটছে। ব্লন্ড, সুন্দরী এবং ফুটবল রেফারি বলে বিবিয়ানার সাথে ওয়েবের পড়ছে বেশি। ২০১৪ সালে ফুটবল রেফারির কাজ থেকে অবসর নেন ওয়েব। এখন পুলিশ অফিসার হিসেবে কাজ করছেন। সার্জেন্ট। বিবিয়ানাও সাবেক পুলিশ অফিসার। ছিলেন শেরিফ। মিল অনেক।
বিবিয়ানার ক্যারিয়ারে বড় একটি বিতর্ক আছে। জার্মান লিগে এক ম্যাচ পরিচালনার সময় হার্থা বার্লিনের ডিফেন্ডার পিটার নিয়েমেয়ারের হাত ঘসা খেয়েছিল বিবিয়ানার স্তনে। বলা হয়, ওটা দুর্ঘটনা। আবার তখন বায়ার্ন মিউনিখের কোচ পেপ গার্দিওলার সাথেও দ্বন্দ্ব ছিল তার। ক্যারিয়ারে ৬৫০ ম্যাচ পরিচালনা করেছেন বিবিয়ানা। ২০১১ নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল পরিচালনা করেছেন। ২০১০ অলিম্পিক ফুটবলেও ছিলেন।
২০১০ বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ পরিচালনা করেন ওয়েব। হাজারের বেশি ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা তার। কিন্তু বির্তকিত সিদ্ধান্ত ও বক্তব্যের কারণে সব সময় আলোচিত ছিলেন। কখনো বা নিন্দিত। ২০১০ স্পেন-নেদারল্যান্ডস ফাইনালে নাইজেল ডি জংকে লাল কার্ড দেখানোর সিদ্ধান্ত ভুল বলে স্বীকার করেছিলেন পরে। ওই ঘটনায় তার সাবেক স্ত্রী কে বলেছিলেন, "ও তো বাচ্চাদেরই সামলাতে জানে না। মাঠ কিভাবে সামলায় কে জানে!" সেই কের সাথে ২১ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটিয়ে এখন বিবিয়ানার ঘরে ওয়েব!
কালের কন্ঠ
Post a Comment