নতুন মাইল ফলকের সামনে দাড়িয়ে বাংলাদেশ
ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন মাশরাফি, মুশফিক, সাকিব, তামিমরা। সবাই ব্যস্ত এখন কোরবানির ঈদ নিয়ে। শত ব্যস্ততার মাঝেই ক্রিকেটারদের সবার পরিকল্পনায় আলাদা করে জায়গা নিয়ে আছে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড সিরিজ। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এ মাসেই আসছে আফগানিস্তান।
সেপ্টেম্বরের শেষে আসবে ইংল্যান্ড। সফরে ইংলিশরা দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে। দুটি সিরিজই আলাদা গুরুত্ব বহন করছে টাইগারদের জন্য। সিরিজ দুটির যে কোনো একটিতে ইতিহাস লিখে ফেলতে পারেন মাশরাফিরা। দুই সিরিজের যে কোনো একটিতেই তারা ১০০ নম্বর ওয়ানডে জয়টি উদযাপন করতে পারে। সেটা হতে পারে আফগানিস্তান সিরিজেই।
১৯৮৬ সালের ৩১ মার্চ প্রথম ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশ। ম্যাচটি ছিল দ্বিতীয় এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে। কলম্বোর ওই অভিষেক ম্যাচে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুরা হেরেছিলেন ৬ উইকেটে। এরপর গত ৩০ বছর ধরে খেলে চলেছে টাইগাররা। বাংলাদেশের প্রথম জয় ১৯৯৮ সালে ভারতের মাটিতে কেনিয়ার বিপক্ষে। মাশরাফিদের সর্বশেষ ওয়ানডের প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। গত ১৫ নভেম্বরের ম্যাচটি মাশরাফিরা জিতেছিলেন ৬১ রানে।
এরপর ১০ মাস ধরে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলেনি টাইগাররা। ২৫ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০ মাসের বিরতি শেষে মাঠে নামবে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাকি দুটি ওয়ানডে ২৮ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর। ম্যাচ তিনটির ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ তিনটি ৭, ৯ ও ১২ অক্টোবর। প্রথম দুটি মিরপুরে এবং তৃতীয়টি চট্টগ্রামে। এই ছয় ওয়ানডের মধ্যে দুটি জিতলেই টাইগাররা ১০০ নম্বর ওয়ানডে জেতার কৃতিত্ব দেখাবে।
অভিষেকের পর গত তিন দশকে ৩০ বছরে বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলেছে এখন পর্যন্ত ১৮ দেশের বিপক্ষে। ৩১২ ওয়ানডে খেলে জিতেছে ৯৮টি। হার ২১০ এবং টাই ৪টি। সবচেয়ে বেশি ৬৭টি ওয়ানডে খেলেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ৩৯ জয়ের বিপক্ষে হার ২৮টি। সাফল্যের হার ৫৮.২০ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮টির প্রতিপক্ষ ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ শ্রীলঙ্কা। ৪ জয়ের বিপক্ষে হেরেছে ৩১টি। সাফল্য ১১.৪২ শতাংশ। পার্শ্ববর্তী ভারতের বিপক্ষে ৩২ ম্যাচে জিতেছে ৫টি। টাই একটি এবং হার ২৬টি। দুই দলের একটি ম্যাচ আবার ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। গত বছর ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতেছিল মুস্তাফিজুর রহমানের অসাধারণ বোলিংয়ে।
ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের আগে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল পাকিস্তানকে। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের পর দ্বিতীয়টি জিততে বাংলাদেশকে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে ১৬ বছর। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৫ ম্যাচে ৪ জয়ের বিপক্ষে হার ৩১টি। সাফল্যের হার ১১.৩২ শতাংশ। শতভাগ জয় বারমুডা, হংকং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে খেলেছে। কিন্তু এই প্রথম খেলছে ওয়ানডে সিরিজি। ম্যাচ দুটির একটি ছিল এশিয়া কাপে। ফতুল্লায় ওই ম্যাচে হারের প্রতিশোধ নিয়েছিল ক্যানবেরায় বিশ্বকাপে।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একমাত্র জয়টি ২০০৫ সালে কার্ডিফে। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ১৯ ম্যাচে জয় একটিই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ জয়ের দুটি আবার বিশ্বকাপে। ২০১১ সালে ঘরের মাটিতে এবং ২০১৫ সালে অ্যাডিলেডের ঐতিহাসিক জয়টি আবার বাংলাদেশকে ঠাঁই দেয় প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কোয়ার্টার ফাইনালে। – বিডি প্রতিদিন
Post a Comment