Header Ads

ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-পাইলট হতে চেয়েছিলাম, দিন শেষে ক্রিকেটার হয়ে গেছি’

ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-পাইলট হতে চেয়েছিলাম, দিন শেষে ক্রিকেটার হয়ে গেছি'
ক্রিকেট তাকে দুহাত ভরে দিয়েছে। মাঠের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স তাকে নিয়ে গেছে খ্যাতির চূড়ায়। বলা যায়, দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসান। মাগুরা টু মেলবোর্ন, ঢাকা টু লন্ডন; সর্বত্রই সাকিবের পদচারণা।
নিজেকে আজকের অবস্থানে দেখে অবাক লাগে, বিস্ময়ের জন্ম দেয় সাকিবের! দেশের বেসরকারী একটি চ্যানেলের ঈদ অনুষ্ঠানে বাঁ-হাতি এই অলরাউন্ডার জানালেন, তার ধারনাতেও ছিল না আজকের এই অবস্থানে তিনি আসতে পারবেন! ছোটবেলায় বারবারই লক্ষ্য পরিবর্তন করতেন। ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-পাইলট হতে চেয়েও শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটারই হয়েছেন দেশ সেরা এই অলরাউন্ডার।
পুরোনো স্মৃতি মনে করে সাকিব বললেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি বেশি কিছু চিন্তা করি না। কিন্তু যখন চিন্তা করি আমি আজ কোন অবস্থায় আছি তখন নিজের কাছেও অবাক লাগে। আমার ধারণাতেও ছিল না যে আমি আজ এ অবস্থায় আসব! আল্লাহর রহমত ছিল, ভাগ্য সহায় ছিল, সবার দোয়া ছিল বলে এতদূর আসতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছোটবেলায়ও বেশি চিন্তাও করতাম না। বছর বছর লক্ষ্য পরিবর্তন হতো। ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-পাইলট হতে চেয়েছিলাম। এটা করব…ওটা করব… এভাবে চিন্তা করেছি। দিন শেষে ক্রিকেটার হয়ে গেছি।’
গেল দেড় বছরে বাংলাদেশ অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে। সাকিব ও মুস্তাফিজের মতো সুপারস্টারই কেবল নন, দলে সাত আট জন তারকা খেলোয়াড় থাকার জন্যই এই সাফল্য। এ তালিকা আরো বড় দেখতে চান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
বললেন, ‘আমি তো চাই আমাদের দলে আরো সুপারস্টার আসুক। এখন নাম ধরে বলা যাবে দলে সাত থেকে আটজন ম্যাচ উইনার আছে। এ রকম সুপারস্টার দলে যত বেশি থাকবে আমাদের তত বেশি জেতার সম্ভাবনা থাকবে। এখন যারা দলে আছে তাদের নিয়ে আপনি চিন্তা করতে পারবেন তারা ম্যাচ জেতাতে পারবে। এই ধারাবাহিকতা আমাদের যত বেশি থাকবে তত বেশি আমরা সাফল্য পাব।’

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.