আফগানিস্তানের বিপক্ষে নির্বাচকদের তুরুপের তাস মিরাজ?
হোম সিরিজ বলে কথা। খেলা শুরুর এক-দুই দিন আগে দল দিলেই কী? তার ওপর তাসকিন আহমেদের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা, দুয়ে মিলে দল ঘোষণায় দেরি। আজ না কাল করে এরই মধ্যে দুই দফা তারিখ পাল্টেছে।
তবে শেষ খবর, আর দেরি নয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই ঘোষিত হবে আফগানিস্তানের সঙ্গে ওয়ানডে স্কোয়াড। জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বুধবার সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে দিয়েছেন এ তথ্য। মিনহাজ জানান, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সন্মেলন করেই দল ঘোষণা।’
এদিকে, দল ঘোষণার আগের রাত মানে বুধবারের দিবারাত্রির প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে জাতীয় দল। নির্বাচকরা গভীর মনোযোগ দিয়ে শেষবারের জন্য ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স পাখির চোখে পরখ করেন। দল নিয়ে যথারীতি সতর্ক ও সাবধানী নির্বাচকরা। সামনা-সামনি তো নয়ই। ফোনেও দল নির্বাচন প্রক্রিয়া কিংবা ক্রিকেটার বাছাই নিয়ে তিন নির্বাচকের কারো মুখে একটি কথাও নেই।
কারো কারো ধারণা ছিল, আফগানিস্তানের সঙ্গে বুঝি দল নিয়ে ছোটখাট পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হতে পারে। কিন্তু ভেতরের খবর, নির্বাচকরা সে পথে হাঁটতে নারাজ। কোনো রকম পরীক্ষায় না গিয়ে ইংল্যান্ড সিরিজের ড্রেস রিহার্সেল ধরেই আগাতে আগ্রহী মিনহাজুল আবেদিন এন্ড কোং।
যতদূর জানা গেছে বড় অংশের নির্বাচন নিয়ে নির্বাচক, কোচ ও অধিনায়করা মোটামুটি একমত। অধিনায়ক মাশরাফি, দুই ওপেনার তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার , সাব্বির রহমান, কিপার কাম মিডল অর্ডার মুশফিকুর রহমান, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর পেসার রুবেল হোসেন- এই আটজন অটোমেটিক চয়েজ।
এর সঙ্গে আরো দুজন পেসার (আল-আমিন হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও শফিউল ইসলামের মধ্যে যেকোনো দুজন), একজন স্পেশালিস্ট স্পিনার এবং দুজন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান (অলরাউন্ডার) ও একজন ব্যাকআপ ওপেনার থাকবেন।
জানা গেছে ১৪ জনের দলে সে অর্থে বড় চমক নেই। তামিম-সৌম্যর সঙ্গে একজন ব্যাকআপ টপঅর্ডার , সাকিবের সঙ্গী আরেকজন বাঁহাতি স্পিনার এবং মিডল অর্ডারে ব্যাটসম্যান কাম স্পিনার- এই তিন জায়গায় পূরণ নিয়েই কথাবার্তা হয়েছে বেশি।
টপ অর্ডারে ইমরুল কায়েস, নাকি এনামুল হক বিজয়? কাকে নেয়া হবে? তা নিয়েই রাজ্যের কথাবার্তা। মাঝে প্রায় অটোমেটিক চয়েজ হয়ে পড়া এনামুল হক বিজয় আবার বিশেষ বিবেচনায় আছেন বলে জানা গেছে। বাঁহাতি ইমরুল কায়েসের বদলে এনামুল হক বিজয়কে দলে দেখা গেলে অবাক হবার কিছুই থাকবে না।
মিডল অর্ডারে দুই তরুণ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মেহেদি হাসান মিরাজের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা অনেক। মাঠে নামার সুযোগ না পেলেও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এর আগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে একবার জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন।
কিন্তু তরুণ মেহেদি হাসান মিরাজ আগে কখনই জাতীয় দলে জায়গা পাননি। কি করে পাবেন? এই তো কয়েক মাস আগে যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব ছিলেন খুলনার এ উদ্যমী যুবা। ক্রিকেট পাড়ায় জোর গুঞ্জন, আফগানিস্তানের সাথে দলে একটিই নতুন মুখ- মেহেদি হাসান মিরাজ। যতদূর জানা গেছে যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেয়া এ মিডল অর্ডার কাম অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজই আফগানদের বিপক্ষে নির্বাচকদের তুরুপের তাস হতে পারেন।
এছাড়া সাকিব আল হাসানের সঙ্গে বাড়তি বাঁহাতি স্পিনার নিয়েও খানিক দোটানায় টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা। আট বছর পর আবার ডাক পাওয়া মোশাররফ রুবেল আর তাইজুল ইসলামের যে কোনো একজনকে বেছে নেয়া হবে।
এদিকে ভাগ্য ঝুলে আছে নাসির হোসেনের। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং নাসিরের সঙ্গে একই ক্যাটাগোরির (মিডল অর্ডার কাম অফস্পিনার) পারফরমার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আর মেহেদি হাসান মিরাজও। যেহেতু মাহমুদউল্লাহ অটোমেটিক চয়েজ, তাই এ দুই তরুণ দুজন জায়গা পেলে অনিবার্য্যভাবেই জায়গা হারাবেন নাসির।
শেষ খবর, ঐ দুই তরুণের একজনকে বাইরে রেখে নাসির ঢুকে গেলেও যেতে পারেন।জাগো নিউজ
Post a Comment