সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সামনে সুরেশ রায়নাদের গুজরাট লায়ন্স
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) প্লে-অফে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়ে ফাইনালের পথে একধাপ এগিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সামনে এখন শুধু সুরেশ রায়নাদের গুজরাট লায়ন্স। প্রতিপক্ষের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে ভাঙতে ডেভিড ওয়ার্নারের ভরসা তাদের দুর্দান্ত পেস আক্রমণ।
সানরাইজার্স অধিনায়কের এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভরসা হতে পারেন কাটার-মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। শেষ ম্যাচে কলকাতার বিপক্ষে উইকেট না পেলেও ডেথ ওভারে তাঁর বল বেশ ভুগিয়েছে কলকাতার ব্যাটসম্যানদের।
অবশ্য এই গুজরাটের বিপক্ষে সানরাজার্স দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতেছে। প্রথম ম্যাচে তারা ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে পাঁচ উইকেটে জিতেছে মুস্তাফিজের দল।
এই দুই ম্যাচের মুস্তাফিজের পারফরম্যান্স বেশ নজরকাড়া ছিল। প্রথম ম্যাচে ১৯ রান খরচায় এক উইকেট পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ছিলেন আরো বেশি মিতব্যয়ী। মাত্র ১৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তাই শুক্রবারও গুজরাটের আতঙ্ক হতে পারেন মুস্তাফিজ।
নিজেদের সেরা অস্ত্রের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অধিনায়ক ওয়ার্নারও, ‘মুস্তাফিজ অনেক উঁচুমাপের প্রতিভা, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমি চেষ্টা করেছি তাঁকে সতর্ক ভাবে ব্যবহার করতে। এমন সময় আক্রমণে এনেছি যখন হয়তো ব্যাটিং পাওয়ার প্লে শেষ হয়ে গেছে। কারণ তাঁকে মারের মুখে ফেলতে চাইনি আমি।’
মুস্তাফিজকে সহযোগিতা করার দিকগুলো তুলে ধরে হায়দরাবদ অধিনায়ক বলেন, ‘আমি মুস্তাফিজকে খুবই ভালোবাসি। সে যেভাবে ফিল্ড সাজাতে চেয়েছে, আমি তেমনি সুযোগ করে দিয়েছি। ভাষা সমস্যা কাটিয়ে তাঁকে যতটুকু সম্ভব স্বাচ্ছন্দ্যে রাখার চেষ্টা করেছি। হায়দরাবাদ একটা পরিবারের মতো। আর তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মুস্তাফিজ।’
আইপিএলে এখন পর্যন্ত ১৫টি ম্যাচ খেলে মুস্তাফিজ নিয়েছেন ১৬টি উইকেট। তবে এই পরিসংখ্যান না, মুস্তাফিজ সবচেয়ে বেশি সাড়া জাগিয়েছেন বিস্ময়কর ইকোনমি রেট দিয়ে। টি-টোয়েন্টির মারমুখী ব্যাটিংয়ের যুগে আইপিএলে তিনি ওভারপ্রতি দিয়েছেন মাত্র ৬.৭৩ রান। গত এপ্রিলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে মাত্র ৯ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছিলেন ‘ফিজ’।
Post a Comment