Header Ads

খেলতে হচ্ছে ওয়ার্নারের মতো অতি সাধারণ ও গতানুগতিক একজনের অধিনায়কত্বে

আমি তো বলব মুস্তাফিজের ভাগ্য কিছুটা মন্দ। কারণ তাকে খেলতে হচ্ছে ওয়ার্নারের মতো অতি সাধারণ ও গতানুগতিক একজনের অধিনায়কত্বে। মুস্তাফিজ যদি ধোনির দলে থাকতো তাহলে সে আরও ভাল পারফর্ম করতে পারত।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক পরিচলক ও সিসিডিএম চেয়ারম্যান খন্দকার জামিল উদ্দিন এসব কথা বলেন।
খন্দকার জামিল বলেন, ধোনি জানেন, কখন কাকে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়। আমি ওয়ার্নারের অধিনায়কত্বে রীতিমত বিরক্ত। তাকে টানা একই নিয়মে বল করানো হচ্ছে। প্রতি ম্যাচে কেন একজনকেই ডেথ ওভারে বল তুলে দেওয়া হবে? আমার মনে হয় এটা ওর কাছে বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন একই স্পেলে বল করতে করতে মুস্তাফিজও হয়তো হাঁপিয়ে উঠে থাকতে পারে।
তিনি বলেন, একজন অধিনায়ককে অনেক কিছু মাথায় রাখতে হবে। মুস্তাফিজ কার বিরুদ্ধে ভাল করে সেটা বুঝতে হবে। তখন তার হাতে বল তুলে দিতে হবে। ধরুন, মুস্তাফিজ গম্ভীরের বিরুদ্ধে ভাল করে। কিন্তু গম্ভীর যখন উইকেটে তখন মুস্তাফিজকে আক্রমণে আনা হচ্ছে না। অথচ সে বল করার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। দলের প্রয়োজনেও তখন মুস্তাফিজকে আনা দরকার। কিন্তু ওয়ার্নারের মধ্যে এমন চতুরতা দেখছি না। খুবই গতানুগতিক অধিনায়ক তিনি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিনই নির্দিষ্ট একজনকে কঠিন পরিস্থিতিতে ঠেলে দেওয়া ঠিক নয়। এটা মুস্তাফিজের জন্য বাড়তি চাপ। যেটা প্রতি ম্যাচেই তাকে সামাল দিতে হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব নিশ্চিয়ই একটা কিছু আছে।
জামিল বলেন, মুস্তাফিজকে খেলতে হচ্ছে সম্পূর্ণ অচেনা পরিবেশে। ভাষা না জানার কারণে কারও সঙ্গে কোনোকিছু শেয়ারও করতে পারছে না। তাছাড়া ২/৩টা ম্যাচে ভাল করতে না পারাকে বড় করে দেখার কিছু নেই। বিশ্বসেরা খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটে। মুস্তাফিজ ঠিকই কামব্যাক করবে।
জামিল আরও বলেছেন, ভারতে খেলতে যাওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত। সেখানে অনেক কিছু শেখার আছে। বিশ্বের সেরা ক্রিকেটাররা ওখানে খেলে। নামকরা কোচদের সান্নিধ্যেও আসতে পারছে সে। আইপিএল থেকে অনেক কিছু শিখে দেশে ফিরতে পারবে মুস্তাফিজ। আর সেটা জাতীয় দলের জন্য কাজে আসবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.