জেনে নিন মোস্তাফিজের ইনজুরির সর্বশেষ অবস্থা
শুক্রবার আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ডেভিড ওয়ার্নারের ৯৩ রানের দুর্দান্ত ক্যামিও ইনিংসে ভর করে গুজরাট লায়ন্সকে ৪ উইকেটে পরাজিত করে আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছে গেছে মুস্তাফিজুর রহমানের সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। তবে ম্যাচ শুরুর আগে হায়দ্রাবাদ দলে দুঃসংবাদের কারণ হয়ে আসে মুস্তাফিজের ইনজুরির খবরটি। ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেন নি মুস্তাফিজ। মুস্তাফিজের অভাব এই ম্যাচে বেশ ভালো মতই বুঝেছে হায়দ্রাবাদ।
মুস্তাফিজের পরিবর্তে খেলতে নামা কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভার বল করে ১ উইকেট শিকার করে ৩৯ রান দিয়েছেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার অ্যারন ফিঞ্চের অর্ধশতকের সুবাদে ১৬২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড়া করায় গুজরাট। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়া হায়দ্রাবাদকে একাই টেনে নিয়ে গেছেন দলপতি ওয়ার্নার। এই জয়ের মাধ্যমে ফাইনাল নিশ্চিত করলো হায়দ্রাবাদ বাহিনী।
তবে এই ম্যাচে জয় পেলেও সব কিছু ছাপিয়ে মুস্তাফিজের ইনজুরি প্রসঙ্গই এখন বড় হয়ে উঠছে। তরুণ এই পেস বিস্ময়ের ইনজুরি কতটা গুরুতর এটাই এখন আলোচনার বিষয়।শুক্রবার দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ধারাভাষ্যকারদের মুস্তাফিজের ইনজুরির কথা জানান হায়দ্রাবাদ দলের দলপতি ডেভিড ওয়ার্নার। আইপিএলের এবারের আসরে এই প্রথমবার মুস্তাফিজকে ছাড়া মাঠে নেমেছে হায়দ্রাবাদ।
মুস্তাফিজের ইনজুরি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের জন্য যতটা হতাশাজনক তার চেয়েও বেশি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য। তবে, আশার কথা হলো অধিনায়ক ওয়ার্নারের কথাতে বোঝা গিয়েছে যে তরুণ মুস্তাফিজের ইনজুরি খুব একটা গুরুতর নয়। মূলত, ২৯ মে’র ফাইনালের জন্য মুস্তাফিজকে ফিট রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
তবে, টানা খেলার মধ্যে থাকা মুস্তাফিজের শারীরিক অবস্থা যে খুব একটা ভালো এমনও নয়। আইপিএলে খেলতে গিয়েই পায়ে সামান্য চোঁট পেয়েছেন মুস্তাফিজ। সাথে দীর্ঘদিন বাড়ির বাইরে থাকা এবং টানা খেলার কারণে কাজ করছে ক্লান্তি এবং ‘হোম সিকনেস’। তাই ধারণা করা যাচ্ছে মুস্তাফিজের গত কয়েকদিনের আশানুরূপ পারফর্মেন্স না করতে পারার এটাই কারণ।
আইপিএল শেষ করে দেশে ফেরার পর কতটা বিশ্রাম নিতে পারবেন সে ব্যাপারটাও এখন প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ, কাউন্টি দল সাসেক্সের হয়ে খেলতে গেলে আবারও দীর্ঘ সময় তাকে দেশের বাইরে থাকতে হবে। দেশে থাকলেও তাকে ব্যস্ত থাকতে হবে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ নিয়ে। ডিপিএলে মুস্তাফিজকে দলে ভিড়িয়েছে মুশফিকুর রহিমের মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তাই বলা যায় দেশে ফিরেও স্বস্তি পাচ্ছেন না এই তরুণ পেসার। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিশ্চয়ই জাতীয় দলের এই বিস্ময় বালককে নিয়ে কোনো প্রকার ঝুঁকি নিতে চাইবে না। তাই মুস্তাফিজকে বিশ্রাম দেয়ার পক্ষেই থাকবে তারা। অবশ্য কাউন্টি এবং ডিপিএলে খেলা না খেলা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে মুস্তাফিজের নিজের মতামতের ওপরই। তাই এখন দেখার বিষয় কি সিদ্ধান্ত নেন এই টাইগার পেসার।
Post a Comment